অনর্থক কথা বলার কুফল

অনর্থক কথা বলার কুফল কি আমাদের ভিতর অনেকেই আছে যারা কোনো দরকার ছাড়া অনর্থক বেশি বেশি কথা বলে কিন্তু জানে না অনর্থক কথা বলার কুফল কি।যারা অনর্থক বেশি বেশি কথা বলেন তারা আজকের আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন অনর্থক কথা বলার কুফল কি। তো চলুন জেনে নিন অনর্থক বেশি বেশি কথা বললে কি হয়।

অনর্থক কথা বলার কুফল

অনর্থক অর্থ অনর্থক কথা বলার কুফল বেশি কথা না বলার উপায় এবং আরো কিছু বিষয়ে আজকের পোস্ট টিতে আলোচনা করা হবে তাই যারা এই সকল বিষয়ে জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।  

পেজ সূচিপত্রঃ অনর্থক কথা বলার কুফল 

অনর্থক অর্থ - অনর্থক কথা বলা 

আমাদের সমাজে এমন মানুষ আছে যারা অনর্থক বেশি বেশি কথা বলে থাকে।কিন্তু তারা জানে না যে অনর্থক কথা বলার কুফল কি। যেমন খুব কম কথা বলা মানুষকে কেউ পছন্দ করতে চায় না আবার অনর্থক বেশি কথা বলা মানুষ কে ও অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু অনেকে আছে না বুঝে বেশি বেশি অনর্থক কথাবার্তা বলে। অনর্থক অর্থ হলো বৃথা, অকারণ, শুধু শুধু ব্যর্থ। যেসব কথার মূল্য নেই অনর্থক সেই সব কথা না বলাই ভালো। আপনি যত অনর্থক কথাবার্তা বলবেন সেই কথাবার্তার হিসাব পরকালে দিতে হবে। 

অনর্থক কথা বলার কুফল  

এমন অনেক মানুষ আছে যারা কোন দরকার ছাড়া অনর্থক কথাবার্তা বেশি বেশি বলে থাকে আবার অনেক মানুষ আছে যারা কম কথা বলে থাকে। অনর্থক বেশি বেশি কথা বলার জন্য অনেক সময় বিপদে পড়তে হয়। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনর্থক বেশি বেশি কথাবার্তা বলতে না করেছেন। অনর্থক কথা বলার কুফল হলো অনেক সময় অনর্থক বেশি বেশি কথা বার্তা বলা লোকজনকে মানুষ পছন্দ করে না। 

আরো পড়ুনঃ মসজিদে দান করার ফজিলত - মসজিদে দান করার ঘটনা

অনর্থক কথাবার্তা বলা লোকজনকে মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না। অনেকে হয়তো হাসি ঠাট্টার ছলে অনর্থক বেশি বেশি কথাবার্তা বলে থাকে। অনর্থক বেশি বেশি কথা বার্তা বলা থেকে যে বিরত থাকে সে নাজাত পায়। অনর্থক কথাবার্তা না বলে চুপ থাকা হলো একটি ইবাদত। আপনি যত কথা বলবেন তত মানুষের গীবত করবেন ততই আপনার পাপ হতে থাকবে আর এই পাপের জন্য পেতে হবে অনেক শাস্তি। তাই আমাদের সকলের উচিত অনর্থক বেশি বেশি কথা বলা থেকে বিরত থাকা। আশা করি বুঝতে পারলেন অনর্থক কথা বলার কুফল কি। 

বেশি কথা না বলার উপায়

অনর্থক কথা বলার কুফল সম্পর্কে তো জানতে পারলেন অনর্থক কথা বলা ইসলাম পছন্দ করেনা। তাই হয়তো এখন অনেকে জানতে চাইবেন বেশি কথা না বলার উপায় কি চলুন জানা যাক বেশি কথা না বলার উপায় কি। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি বেশি কথা বলছেন তাহলে আপনার ভেতরে একটা দৃঢ় শক্তি বা মনের ইচ্ছা আনতে হবে যে বেশি কথা বলার জন্য সমস্যা হচ্ছে। 

কেবলমাত্র আপনার ভেতর যদি দৃঢ়শক্তি এবং মনের ইচ্ছা খুব বেশি থাকে তাহলেই বেশি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আর যে কোন কথা বলার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। আপনি যখন কথা বলার সময় ভেবে চিন্তে কথা বলতে চাইবেন তখন বুঝতে পারবেন কিভাবে কম কথা বলা যায়। 

আরো পড়ুনঃ ইসলামের ধনী হওয়ার ২০ টি উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়

অনেকের অনর্থক বেশি বেশি কথা বলার অভ্যাস আছে তারা হয়তো খুব সহজে ছাড়তে পারবে না কিন্তু যদি আস্তে আস্তে চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই অনর্থক বেশি বেশি কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে পারবে। আশা করি বুঝতে পারলেন বেশি কথা না বলার উপায়। অনর্থক কথা বলার কুফল সম্পর্কে জানলেন সেই সাথে বেশি কথা না বলার উপায় সম্পর্কেও জানলেন এখন চলুন নিচের অংশে জানা যাক কম কথা বলার উপকারিতা কি। 

কম কথা বলার ১০ টি উপকারিতা

অনেকে ভেবে থাকেন কম কথা বলা লোক মনে হয় বোকা তারা কিছু বোঝেনা যারা কম কথা বলে তারা মূর্খ এমনটা অনেকে ভেবে থাকেন কিন্তু আসলে না যারা কম কথা বলে তারাই বুদ্ধিমান মানুষ। অনর্থক কথা বলার কুফল রয়েছে। অনর্থক বেশি বেশি কথাবার্তা বলার জন্য মানুষে পছন্দ করতে চায় না। আর কথা কম বলার অনেক উপকার রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক কম কথা বলার ১০ টি উপকারিতা

১। যারা কম কথা বলে তারা অনেক বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।

২। যারা কম কথা বলে তারা অনেক প্রতিভাবান হয়ে থাকে।

৩ । যারা কম কথা বলে তাদেরকে জ্ঞানী লোকেরা পছন্দ করে থাকেন।

৪। যারা কম কথা বলে থাকেন তারা খুব সহজে যে কোন জিনিসে বা যে কোন কাজে সফলতা লাভ করতে পারে।

৫। যারা কম কথা বলে তাদের কে সবাই বিশ্বাস করে থাকে এবং তারা অনেক বিশ্বাসযোগ্য হয়।

৬। যারা কম কথা বলে তারা অনেক বুদ্ধিমান হয় তারা কারো সাথে তর্ক না করে তাদের বুদ্ধি দিয়ে যেকোনো বিষয়ে বিজয় লাভ করে।

৭। যারা কম কথা বলে তারা অনেক শান্তি প্রিয় হয়ে থাকে এবং শান্তি প্রিয় মানুষকে সবাই পছন্দ করে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে প্রথম রাখা জায়েজ কিনা বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

৮। যারা কম কথা বলে তাদের ভেতর অনেক সাহস এরা একা থাকতে ভয় করে না এবং এরা যে কোন কাজ একা করতে পারে।

৯। যারা কম কথা বলে অনর্থক কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকে তারা তাদের কথা দ্বারা পাপ কম করে থাকে।

১০। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম কথা বলতে বলেছেন তাই কেউ যদি রাসুলের কথামতো চলে তাহলে তার জন্য পরকালে রয়েছে নাজাত। 

অনর্থক কথা বলার কুফলঃশেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো অনর্থক অর্থ অনর্থক কথা বলা অনর্থক কথা বলার কুফল বেশি কথা না বলার উপায় কম কথা বলার ১০ টি উপকারিতা। আমাদের সকলের উচিত বেশি বেশি কথা না বলা কারন এই বেশি বেশি কথাবার্তার জন্য অনেক সমস্যায় পড়তে হয় আবার আল্লাহ অনর্থক বেশি বেশি কথাবার্তা বলাকারীকে পছন্দ করেন না। তাই আমাদের উচিত যে কোন জায়গায় বুঝে শুনে কথা বলা এবং কম কথা বলা।  

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অনর্থক কথা বলার কুফল এবং আরও অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পেয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন এতক্ষন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url