উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি এ সম্পর্কে । বর্তমান সমাজে দিনের পর দিন ধরে রক্ত চাপের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাময়িক পরিস্থিতিতে যেকোনো বয়সের মানুষেরই রক্তচাপ ঘটিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে কারণ শুধুমাত্র তাদের ব্যাস্ততার জীবন,রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুড এবং সবথেকে প্রধান কারণ হলো অনিয়মিত জীবনশৈলী।
এমনিতে তো রক্তচাপের রোগ খুবই সাধারণ দেখায় কিন্তু সেটার উপর নিয়ন্ত্রণ না পেলে সেই সমস্যা আরো বৃহৎ আকার ধারণ করে যার ফলে হৃদজনিত সমস্যা, স্ট্রোক এবং কিডনির ও সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেই কারণে এখন অনেক চিকিৎসক ই নিয়মিত হারে রক্তচাপ পরীক্ষার কথা বলে থাকেন।
যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে আপনার কাছে দুটো উপায় আছে এর প্রতিকারের। দুটি উপায়ের প্রথমটি হলো: আপনি প্রতিদিন কিছু বিদেশী ওষুধ খেতে পারেন যার আবার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে এবং দ্বিতীয় উপায়টি হলো: ঘরোয়া টোটকা যার দ্বারা খুব সহজেই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হবে,আপনার শরীরে কোনোরূপ পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে না এবং তার সাথে শরীরের জন্য অনেক সুবিধাজনক।তো আজ আমরা জানি রক্ত চাপ কমানোর ঘরোয়া টোটকা।
উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি
উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায়- কেউ অসুস্থ হলে আমরা প্রথমেই ভাবি, তার রক্তচাপ বেড়ে গেল কি না। এই রক্তচাপ দিয়ে মূলত বোঝানো হয় ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ দেহের ভেতরে প্রবাহিত রক্তের চাপ। ধমনীগুলোতে রক্তের চাপ বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলে।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। শুধু বয়স্ক নন, যেকোনো বয়সের মানুষেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাসের ঘাটতির কারণে যে কারোরই এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টফেল, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।
প্রিয় পাঠক আর্টিকেলের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে,উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও কারণ তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়,উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়, ব্যায়াম ইত্যাদি সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি।
উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে
হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্তের চাপ অনেক বেশি থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে বা একে হাই প্রেসার বলে। এটাকে রেকর্ড করা হয় দুটি মনের মাধ্যমে ,যেটাতে কম থাকে সেটাকে বলা হয় ডায়াস্টলিক, আর যেটাতে বেশি থাকে সেটা কে সিস্টোলিক।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও কারণ
- রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ
- রক্ত চাপ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়াই।
- অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায়।
- রাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ (৬-৮ ঘন্টা)ঘুম না হওয়ার কারণে।
- শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ও ওজন বেড়ে যাওয়ায়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি না খাওয়ার।
- অতিরিক্ত নেশাদ্রব্য অর্থাৎ মদ পান করায়।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
উচ্চ রক্তচাপের আলাদাভাবে বিশেষ কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় না। রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ আছে কি না সেটা পেশার মাপার যন্ত্র দ্বারা বুঝা যায় । পেশার মাপার ক্ষেত্রে দুইটা জিনিস রেকর্ড করা হয়।সিস্টোলিকঃ দুটি সংখ্যার মধ্যে বড় সংখ্যা কে বলা হয় সিস্টোলিক। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চা লোনের সময় হৃদপিণ্ড থেকে স্পন্দনের সময় যে চাপ মাপা হয়।ডাস্টলিকঃ দুই সংখ্যার দ্বিতীয় সংখ্যাটির নাম হল ডায়াস্টোলিক। রক্তনালীর বাধা থেকে রক্ত সঞ্চালনের বিরুদ্ধে এই চাপের সৃষ্টি।
স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের প্রেসার ১২০/৮০ থেকে থাকে।( এখানে সিস্টোলিক ১২০ আর ডায়াস্টলিক৮০) মানুষের রক্তের চাপ একে অপরের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হয়। সেই ক্ষেত্রে যদি কারো রক্তচাপ১০০/৬০ থেকে১২০/৮০ এরম মধ্যে থেকে থাকে , তাহলে ধরে নিতে হবে রক্তচাপ বা প্রেসার ঠিক আছে।
সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বলা হয় যদি সব সময় ১৪০ / ৯০ বা এর চেয়ে বেশি থাকে তাহলে সেটা উচ্চ রক্তচাপ। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়ঃ
- হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায় সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয়
- তাৎক্ষণিকভাবে টক জাতীয় খাবার যেমন লেবু, তেতুল , আমড়া , চালতা ,ইত্যাদি খেতে হবে এতে উচ্চ রক্তচাপ আস্তে আস্তে স্বাভাবিকে আসবে।
- বাইরের খাবার অর্থাৎ ফাস্ট ফুড , তেলে ভাজাপোড়া ও বাইরের খাবারএড়িয়ে চলতে হবে হবে।
- পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে যথা টমেটো কিসমিস মিষ্টি আলু ,আলু বোখরা এগুলো যথারীতি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
- দিনের ৩-৪ লিটার পানি পানি পান করলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- চিনি ছাড়া লেবু চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেরাখতে সহায়তা করে।
- মানসিক চাপ বা চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- লাল বিটের রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
রক্তচাপ রোগের জন্য খাবারের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। যেকোনো চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে খাদ্য তালিকায় পটাশিয়াম জাতীয় খাদ্য বাড়াতে হবে। বাড়ালে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সাধারণত ডাবের পানি , টমেটো, শসার সালাদ , বাদাম কালোজিরা , রসুন এ খাবারগুলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
উচ্চরক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ
- প্রতিদিন নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করুন
- পরিমিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন
- ক্ষুধা লাগলে খাবার খান আবার ক্ষুধা থাকতেই খাবারখাওয়া বন্ধ করুন
- দিনে কমপক্ষে চার-পাঁচ লিটার পানি পান করুন
- মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
- ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যতটা পারুল এড়িয়ে চলুন
- কাঁচা লবণ খাওয়া একেবারেই বন্ধ করুন
- শরীরের ওজনের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রাখুন
কোন বয়সে প্রেসার কত থাকা উচিত
মানুষের শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রেসার ১২০/৮০। বয়সের সাথে সাথে প্রেশারও কিছু টা বাড়তে পারে, বেড়ে উপরেরটা অর্থাৎ সিস্টোলিক ১৪০ থেকে যদি বেশি অন্যদিকে নিচেরটা অর্থাৎডায়াস্টলিক৯০ থেকে বেশি হলে সেটা কে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
উচ্চ রক্ত কমানোর ক্ষেত্রে যে ব্যায়ামগুলো আপনি করতে পারেন প্রতিদিন নিয়মিত আধা ঘন্টা হাটুন এতে আপনার শরীরের চর্বি কমে যাবে, যোগাসন , বেলি মারা , শ্বাস প্রশ্বাস জোরে জোরে নেওয়া আবার ছাড়া, এছাড়া ও স্কোয়াট বা প্ল্যাঙ্ক এর মত ব্যায়াম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। নামাজ এমন একটি ব্যায়াম যা শরীরের জন্য এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
অর্থাৎ শরীরে যে কোন রোগ জীবাণু প্রবেশ করা থেকে বাধা প্রদান করে। নামাযী ব্যক্তিকে আল্লাহতালা বড় বড় রোগ থেকে নিরাপদে রাখেন। অর্থাৎ নামাজী ব্যক্তিকে হাই প্রেসার, ডাইবেটিস , হার্টের রোগ , মেরুদন্ডের রোগ , পাকস্থলীর রোগ , লাঞ্চের রোগ , মস্তিষ্কের রোগ থেকে নিরাপদে রাখেন। (যদি সে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে)
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
লেবুর মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে এমন কিছু বিশেষ খনিজ পদার্থ রয়েছে যা হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ।এর মধ্যে রয়েছে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রক্তের চাপকে দমিয়ে রাখতে সহায়তা করে। লেবু বা লেবু জাতীয় ফল অর্থাৎ বাতাবি লেবু ,কমলালেবু, মাল্টা ইত্যাদি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন একটি অত্যন্ত উপকারী ঔষধ রসুনের মধ্যে এমন পদার্থ আছে যার শরীরের মধ্যে গিয়ে রক্তকে তরল করে দেয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত এক থেকে দুই কোয়া রসুন খাওয়া উচিত।
উচ্চ রক্তচাপে মধু
মধু এমন একটি ঔষধ, যেই ঔষধ টি দুনিয়াতে যত ধরনের, যত রোগ রয়েছে সব রোগেরই মহা ঔষধ। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, উচ্চ রক্তচাপেও এই ওষুধটি অত্যন্ত উপকারী। অতএব আমাদের প্রতিদিন সকালে দুই চা চামচ করে মধু খাওয়া উচিত।
দ্রুত হাই প্রেশার কমানোর উপায়
বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এসব রোগীরা যেকোনো সময়ই প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। জটিল এ পরিস্থিতিতে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর কিছু নিয়ম জেনে রাখা সকলেরই উচিত।
হাইপারটেনশন বা হাই প্রেশারকে বাংলায় উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি তখনই ঘটে যখন ধমনিতে রক্তের অত্যধিক চাপ পড়ে।
সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশে প্রতি পাঁচজনে অন্তত একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তবে ৫৯ শতাংশ রোগীই জানেন না যে তারা গুরুতর এ সমস্যায় আক্রান্ত।
চিকিৎসা শাস্ত্রে, স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ চাপ। তবে রক্তচাপ যখন এর বেশি যেমন ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয়, তখন ওই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে অনেক সময় অনেকেই ‘প্রেশার’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে রোগীদের সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এ রোগটিই অন্যান্য শারীরিক নানা জটিলতা তৈরির কারণ। রক্তনালীর সমস্যা তৈরি করার পাশাপাশি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের কারণও এই উচ্চ রক্তচাপ।
অথচ হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা প্রায়ই খাওয়ার সময় বেমালুম ভুলে যান নিজেদের শারীরিক অসুস্থতার কথা। যার কারণে হাইপ্রেশারের রোগীদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই আসুন জেনে নিই হঠাৎ প্রেশার আরও বেড়ে গেলে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাৎক্ষণিক করণীয় সম্পর্কে।
১. হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে শারীরিক চলাচল কমিয়ে দিন। কেননা, এতে রক্তের চাপ আরও বেড়ে যায়।
২. রক্তের চাপ কমাতে খেতে পারেন তেঁতুলের রস। তেঁতুলের রসের পরিবর্তে খেতে পারেন লেবুর পানি।
৩. আপনার খাদ্যতালিকায় আদা রাখুন। আদা একটি সুপারফুড। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও পেশি শিথিল করে।
৪. রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রক্রিয়াজাত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গে চর্বিযুক্ত খাবার, খাবারের লবণ, ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে এমন খাবারও এড়িয়ে চলুন।
৫. এ সময় চিনি, তেল, ঘি, মাখন ও রেডমিট একেবারেই খাওয়া যাবে না।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আরো কিছু পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলোঃ
যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে আপনার কাছে দুটো উপায় আছে এর প্রতিকারের। দুটি উপায়ের প্রথমটি হলো: আপনি প্রতিদিন কিছু বিদেশী ওষুধ খেতে পারেন যার আবার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে এবং দ্বিতীয় উপায়টি হলো: ঘরোয়া টোটকা যার দ্বারা খুব সহজেই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হবে,আপনার শরীরে কোনোরূপ পার্শপ্রতিক্রিয়া হবে না এবং তার সাথে শরীরের জন্য অনেক সুবিধাজনক।তো আজ আমরা জানি রক্ত চাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ
তুষের মাখা
আটা ও ময়দা সমপরিমানে মিশিয়ে বানানো রুটি খুব চিবিয়ে-চিবিয়ে খান, আটা থেকে তুষ বের করবেন না। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খুব সাহায্য করে।
বাদামি চাল
যতটা পারবেন বাদামি চাল বা ব্রাউন রাইস খাবার চেষ্টা করুন। কারণ এতে আছে লবন, ফ্যাট এবং শর্করা নামমাত্রই থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য এই চাল খুব উপকারী।
রসুন
রসুনের মধ্যে এলিসিন থাকে যা শরীরে নাইট্রিক অক্সিডের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা মাংস পেশিকে আরাম প্রদান করে। এছাড়া রক্তচাপের ডায়ালোস্টিক এবং সিস্টোলিক সিস্টেমেও আরাম প্রদান করেন। সেই জন্য রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীদের প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খালি পেটে খাওয়া উচিত।
আমলকী
আমরা সকলেই জানি যে আমলকী ব্যবহারে অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে কিন্তু আজ থেকে জানবেন যে আমলকীর ব্যবহার রক্তচাপ রোগেও অনেক আরাম প্রদান করে থাকে। আমলার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। যা রক্ত চলাচল ঠিক করে আর শরীরে শর্করার মাত্রাও ঠিক রাখে।
মুলো
এমনিতে তো মুলো একটি অতি সহজে প্রাপ্ত সবজি। যা নিয়ম করে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাঁচা বা রান্না করা অবস্থায় খেলে এর থেকে শরীরে খনিজ এবং প্রচুর মাত্রায় পটাসিয়াম ঢোকে। এটা উচ্চ-সোডিয়াম ওলা খাদ্য খাবার ফলে উচ্চ রক্তচাপও ঠিক রাখতে কাজ করে।
তিলের বীজ আর ধানের তুষ
উপরিউক্ত দুটি জিনিস একসাথে খেলে রক্তচাপ নিমন্ত্রনে থাকে। এটি হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্যও উপকারী।এটাও বলা হয় যে ব্লাড প্রেসারের অনেক ওষুধের থেকে এই টোটকা টি বেশি কার্যকরী।
তিসি বীজ বা মসীনা বীজ
তিসি বীজের মধ্যে প্রচুর মাত্রায় আল্ফ়া লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এটা একপ্রকারের গুরুত্তপুর্ন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অনেক পরীক্ষায় যানা গাছে যে যাদের এই উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে, তাদের খাদ্যে তিসিবীজ যোগ করা উচিৎ। এতে শর্করার মাত্রা কম থাকে এবং এটা খেতে রক্ত চাপও কমায়।
এলাচ
বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রতিদিন এলাচ খাবার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। এর ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে যা রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুবই ভালো।
পেঁয়াজ
প্রতিদিন পেঁয়াজের ব্যবহার কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে রাখে.এর মধ্যে অক্সিডেন্ট ফ্লাভানল থাকে যা হৃদয়জনিত কেন সমস্যা হতে দেয়না।
দারচিনি
দারচিনির ব্যাবহার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খুব সহজ করে.এর মধ্যেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্ত সঞ্চালনকে ভালো করে।
খাবারে নুনের ব্যবহার কমান
রক্তচাপ বাড়ানর ক্ষেত্রে নুনের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারে নুনের ব্যবহার কমালেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
রক্ত জমাট বাঁধতে দেয়া যাবেনা
রসুন খুব ভালো কাজ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয়না। উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণই হলো রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। রসুনের ব্যবহার করলেই এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
আমলকীর রস
একটি বড়ো চামচে আমলকীর রস নিয়ে তার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে আর বিকেলে পান করুন। রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রিত হবে ।
গোলমরিচ
যখন রক্তচাপ বাড়বে তখন হাফ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো জলে ভালো করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা অন্তর পান করুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের এটি আরেকটি কার্যকরী উপায়।
পাতিলেবু
উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে হাফ গ্লাস জলে হাফ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন এবং এই লেবুজল ২ ঘন্টা অন্তর পান করলে অনেক তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।
তুলসী পাতা
কিছু তুলসী পাতার সাথে দুটো নীম পাতা একসাথে বেটে নিন,এরপরে সেই মিশ্রণটিকে টো মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন.তারপর খালি পেতে সকালবেলা সেই জলটি পান করুন। ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি র নিশ্চিত সুফল পাবেন।
পেঁপে
উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাই ভোগ রোগীদের জন্য পেঁপে এক অব্যর্থ ওষুধ। খালি পেতে পেঁপের একটা টুকরো চিবিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
মিশ্রণ
মৌরি দানা,সাদা জিরে আর চিনি তিনটি জিনিস সমান পরিমানে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এক গ্লাস জলে এক চামচ মিশ্রণ গুলে সকালে আর বিকেলে খেলেই উপকার পাওয়া যাবে।
আদা
অতিরিক্ত শর্করার ফলে আর্টেরিজের গায়ে ফলক দেখা যায় যা ক্যালসিয়াম স্কুম তৈরী করে। এর ফলে তা রক্ত চলাচলে বাধা দেয় এবং হাইপার টেনশনের সৃষ্টি করে। আদার মধ্যে অনেক কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শর্করা নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়া আদা রক্ত চলাচলেও অনেক সহজ করে।
মেথি
প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে নিয়ম করে ৩ গ্রাম মেথি গুঁড়ো জলে মিশিয়ে পান করুন। এর ব্যবহারে আপনি ১৫ দিনের মধ্যেই এর সুফল হাতে পাবেন।
হাঁটা
প্রতিদিন সকালে খালি পায়ে সবুজ ঘাসের উপর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। এটি নিয়মমত করলেই রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ইতি কথাঃ উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি
উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘উচ্চ রক্তচাপ/হাইপ্রেসার কমানোর উপায় কি’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url