ইন্টারনেট উন্নয়নের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন

ইন্টারনেট শব্দটি আমাদের সবার কাছেই পরিচিত। কিন্তু জানিনা যে, এ ইন্টারনেটের আবির্ভাব কোথায় থেকে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে উপশহর, শহর. সিটি কর্পোরেশন সব জায়গায় এ ইন্টারনেটের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। এখন বর্তমান যুগে ইন্টারনেট এমন এক পর্যায়ে পৌছেযে, এটি ছাড়া মানুষ অচল। আমাদের কোন কাজে ইন্টারনেট লাগে না ! যে কোনো কাজ করতে গেলেই ইন্টারনেটের ব্যবহার করা লাগে। তো চলুন জেনে নিই ‘ইন্টারনেট উন্নয়নের ইতিহাস’ সম্পর্কেঃ

ইন্টারনেট কথাটির অর্থ নেটওয়ার্ক। এ ইন্টারনেটের বীজবপণ করা হয়েছিল মূলত ১৯৬৯ সালে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণাগারের মধ্যে কম্পিউটারের সাহায্যে তথ্য আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে। ARPA (Advance Researcts Project Agency) নেটওয়ার্ক  চালু করে। এটিই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের জগতে মানুষের প্রথম পদক্ষেপ এবং এর নাম দেওয়া হয়েছিল ARPANET.

 ARPANET গঠিত হয়েছিল অল্প কিছু সংখ্যক কম্পিউটার নিয়ে  কিন্তু পরবর্তীেতে এটি দ্রুত প্রসার লাভ করতে থাকে। ১৯৭৩ সালে এ নেটওয়ার্ক আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নরওয়ে এবং ইংল্যান্ডে বিস্তৃতি লাভ করে। ১৯৮০ সালের মঝামাঝি প্রতিরক্ষা বিভাগ ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়। 

তখন NSF (National Science Foundation) নামে একটি মেডারেল এজেন্সি এগিয়ে আসে এবং ৫ (পাঁচটি) ‘‘সুপার কম্পিউটিং সেন্টার’’ স্থাপন করে। 

যারা একাডেমিক গবেষণার উদ্দেশ্যে কাজ করত: তাদের প্রত্যেকেই এগুলো ব্যবহার করতে পারতো। NSF Net.  ARPANET , NSF NET নামক নেটওয়ার্কের মাঝে স্থাপিত সংযোগকে ইন্টারনেট বলা হতো। 

NSF NET মূলত একাডেমিক গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। এজন্য বিভিন্ন প্রাইভেট টেলিযোগাযোগ কোম্পানি NSF NET এর নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল ব্যবহার করে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন নির্মাণ করে এবং একে বোন ধরনের সীমাবদ্ধ ছিল না। সে কারনে রাসায়নিক ও বানিজ্যিক তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়। 

১৯৯০ সালে ARPANET বন্ধ হয়ে যায় এবং আমেরিকার সরকারি সহযোগীতায় NSF Net চালু থাকে। ইন্টারনেট কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই চালু থোকে। ইন্টারনেট কার্যক্রম অনেক আগে চালু হলেও ১৯৯৪ সালের পূর্বে একে েএ নামে ডাকা হতো না। ১৯৯৪  সালের পর ইন্টারনেট শব্দটি ব্যবহৃত হয় এবং তা ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। 

১৯৫৫ সালে ইন্টারনেট ইউরোপ-আমেরিকায় ঘটনা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপি এর জাল বিস্তার শুরু করে। আজ বিশ্বব্যাপি টেলিফোন, ফ্যাক্স বা চিঠি প্রেরণ, ডাটা কনফারেন্সিং, মার্কেটিং, শিক্ষা, গবেষণা, অফিস ব্যবস্থাপনা, টিভি সম্প্রচার, প্রতিরক্ষা অথবা চিকিৎসা ইত্যাদি সকল বিষয়কে ইন্টারনেট এইক সূত্রে েগেঁথে দিয়েছে এবং তথ্যের মহাসড়ক নামে ব্যাপক ভিত্তিতে যোগাযোগের মাধ্যমে শীর্ষ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। 

ইন্টারনেট ভিত্তিক কম্পিউটার তথ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যে একটি (Global Information Intrastructur (GII) গড়ে তুলেছে। বিশ্বের সর্বধরণের তথ্য ব্যবস্থাই এ (GII)  এর অন্তর্ভূক্ত। প্রকৃতপক্ষে এটিই ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url